মোঃ মাইনুল ইসলাম রিফাতঃ
জামালপুরে সুবিধা বঞ্চিত এতিম শিশু ও আলেম-উলামাদের সাথে ইফতার করেছেন, জামালপুর প্রেসক্লাব। এ সময় অনুষ্ঠানটি আরো তরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা করেছেন, জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। ইফতার ও দোয়া মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয় জামালপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে।
জানাযায়, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক হাফিজ রায়হান সাদার মানবিক দৃষ্টপাত হওয়ায় মা-বাবা সমেত স্বজন হারা ইতিমদের কাঙ্ক্ষিত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও খাবার খাওয়ানো সহ ভবিষ্যতে এতিমদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করণের চিন্তা ও তাঁর এমন ব্যতিক্রমধর্মী ভাবনাকে মুহুর্মুহু সাধুবাদ জানিয়েছেন, আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি সহিত সবাই।
অনুষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ক ও পরিচালনায় ছিলেন, জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক লুৎফর রহমান। ২৩ রমজান রোজ শনিবার সরকারি শিশু পরিবার মাঠ এতিমখানায় প্রায় শতাধিক এতিম শিশু শিক্ষার্থী, উলামায়ে একরাম ও জামালপুর সদর সহ সকল উপজেলা হতে আগত গণমাধ্যমকর্মী এবং আমন্ত্রিত প্রসাশনিক কর্মকর্তা সহিত রাজনৈতিক নেতৃত্বস্থানীয়দের সমন্বয়ে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বাবু বিজন কুমার চন্দ্র ও বাংলাদেশ পুলিশ জামালপুর সদর সার্কেল অফিসার জাকির হোসেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাদশা, সরিষাবাড়ী পোগলদীঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক প্রমুখ।
ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত জামান, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম নিরব, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সহ আরো অনেকে। এমন ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইতিমরা খাবার পেয়ে আনন্দিত, প্রানবন্ত ও উতসবমুখর পরিবেশের বিষয়টি সকলের দৃষ্টিতে পরিলক্ষিত হয়। এ বিষয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, সব সময় তাদের (এতিম) ভাগ্যে ভালো খাবার সহ প্রয়োজনীয় কোনো কিছু জোটেনা। তাই রমজানের এই পবিত্র মাসের উসিলায় ও অন্যান্য মাসেও কোনো না কোনো একটি সংস্থা যদি এদের পাশে এসে দাড়াতো, তাহলে এদের চাহিদা পূরণ সহ মা-বাবা হারানোর দুঃখ গুলো হয়তো ঘুচে যেতো।
ইফতারের পূর্বে কূরআন তেলোয়াত শেষে মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের পরিসমাপ্তি হয়।