এস এম খুররম আজাদঃ
জামালপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলাতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শিক্ষক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রাজ্জাক (২৬) ও শরিফুল ইসলাম (২০) নামে দুই সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের উত্তর ছালাল চরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলার ওই এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও ছালাল অটেস্টিক (প্রতিবন্ধী) স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাফিউল ইসলাম (৩৫), মৃত নূর আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার (৮০) এবং তার ছেলে পরশ (৩৭), জুম্মা (৪০) ও মেয়ে আঁখি (৪২)।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ৫ একর জমি নিয়ে আব্দুস সাত্তারের সাথে প্রতিবেশী মফিজ উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি মতিউর রহমানের ছেলে সেনাসদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও মফিজ উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাড়িতে এসে ওই ফসলি জমি দখলের পাঁয়তারা শুরু করেন।
এর পর বুধবার বিকালে তারা আব্দুস সাত্তারের পাটের ক্ষেতে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষের কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় শিক্ষক রাফিউল ইসলাম বাঁধা দিলে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় ফিরাতে গেলে তার পিতা আব্দুস সাত্তার এবং তার ভাই পরশ, জুম্মা ও বোন আঁখি গুরুতর আহত হয়। পরে আহত লোকজনকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষক রাফিউল ইসলাম বলেন, তাদের বাড়ির পালানের জমিতে তারা পাট বুনেছিলেন, সেই জমির ফসল নষ্ট করে তারা হালচাষ শুরু করে। এসময় আমি বাঁধা দিলে সেনাসদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক আমাদের ওপর আক্রমন করে। এ ঘটনায় আমি ছাড়াও আমার পরিবারের আরো অনেকেই আহত হন।
এ বিষয়ে সেনা সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, ওই জমি তাদের। তারা কাউকে আক্রমন করেননি। বরং তারাই আক্রমন করেছে। এ ঘটনায় তাদের লোকজন আহত হয়েছে।
এবিষয়ে কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।