সরিষাবাড়ী প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সৌদি আরব প্রবাসীর পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে। এতে মরে ভেসে ওঠেছে বিভিন্ন প্রজাতির দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে পুকুরের সবগুলো মাছ মরে ভেসে ওঠতে দেখে এলাকাবাসী।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ার খলিল মণ্ডলের ছেলে খায়রুল ইসলাম মিস্টারের সাথে প্রতিবেশী মৃত জালাল মণ্ডলের ছেলে বাদশা মণ্ডলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। সোমবার বাদশা মণ্ডলের দায়েরকৃত মামলায় খায়রুল ইসলাম মিস্টারসহ ১২ জন জামিনে আসেন।
এদিকে ওইদিন রাতেই খায়রুল ইসলাম মিস্টারের বোনজামাই সৌদি আরব প্রবাসী ফজলুল হকের পুকুরে বিষপ্রয়োগের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে সরপুঁটি, কই,
মাগুর, শিং, কাতল, রুই, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবগুলো মাছ মরে ভেসে ওঠে।
প্রবাসী ফজলুল হকের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার মিষ্টি ও তারা বাবা খলিল মণ্ডল অভিযোগ করেন, বসতভিটার জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের পুকুরে রাতের অন্ধকারে বিষপ্রয়োগ করেছে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ মরে গেছে।
এব্যাপারে বক্তব্য জানতে প্রতিপক্ষ বাদশা মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী লাইলি বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইতোপূর্বে মিস্টার ও তার লোকজন তাদের ওপর হামলা এবং মারধর করে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ১২ জন আসামী জামিনে এসে নিজেদের পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে তাদের হয়রানির চেষ্টা করছে।
মহাদান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জুয়েল জানান, পুকুরে বিষপ্রয়োগের ঘটনা শুনেছি, তবে কে বা কারা ঘটিয়েছে জানি না। উভয়পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে, বিষয়টি ইতোপূর্বে আপোষ-মিমাংসার চেষ্টা করলেও একপক্ষ রাজি না থাকায় সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।