জেলা প্রতিনিধি ঃ
অনেক
কারণেই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আবার কখনো মতাদর্শের ভিন্নতার জন্যও যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কারণটা যা-ই হোক,
এসব সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করার দারুণ এক উপলক্ষ হতে
পারে ঈদ। ঈদের মূল ব্যস্ততার দিনটা তো চলেই গেছে
কাল। আজ থেকেই নাহয়
নতুন এই ‘প্রকল্প’ হাতে
নিন।
হয়ে
উঠুন মনখোলা
নাগরিক
জীবনের ব্যস্ততায় অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই বাস্তবতা আপনার
জন্য যেমন সত্য, অপরপক্ষের জন্যও তেমনি সত্য। অতীতে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়ে থাকলে মন থেকে মুছে
ফেলতে চেষ্টা করুন। আপনিই নাহয় আজকে একবার ফোন করে কথা বলুন।
ক্ষমা
করুন, ক্ষমা চেয়ে নিন
আপনার
কোনো ভুল থেকে থাকলে তার জন্য ক্ষমা চাওযঅর প্রস্তুতি আগেভাগেই নিয়ে রাখুন। কোনো অজুহাত দাঁড় না করিয়ে মন
থেকেই ক্ষমা চেয়ে নেওয়া ভালো। আপনার ভুল না থাকলেও কিন্তু
ক্ষমা চাইতে পারেন। তাঁর মনে আপনার প্রতি বিরূপ ভাব থাকলে তা কেটে যাবে।
যখন কথা বলবেন, তখন তিনি তাঁর ভুলের জন্য ক্ষমা না চাইলেও মনে
মনে তাঁকে ক্ষমা করে দিন। নশ্বর পৃথিবীতে মনে কষ্ট রেখে দেওয়ার কোনো অর্থই নেই।
ফোনে
যোগাযোগ করতে পারেন। আজ চলে যেতে
পারেন তাঁর বাড়িতে। নিমন্ত্রণ করতে পারেন আপনার বাড়িতে কিংবা কোনো রেস্তোরাঁয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যও নিতে পারেন। আবার যোগাযোগপ্রযুক্তির এমন উৎকর্ষের দিনেও আপনি কিন্তু তাঁকে চিঠি লিখতে পারেন। এমন কোনো কাজে তাঁকে আপনার সঙ্গী হতে অনুরোধ জানাতে পারেন, যা সামাজিক বিচারে
ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
বুঝিয়ে
দিন, তিনি আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ
তাঁকে
বুঝিয়ে দিন, তাঁকে জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বলেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। হোক না সেটা লম্বা
সময় পরে। কেবল ‘কেমন আছ’, ‘কী খবর’–জাতীয়
প্রশ্ন নয়, বরং এমন কিছু নিয়ে প্রশ্ন করুন, যা তাঁর ব্যক্তিজীবনে
মূল্যবান। প্রশ্নের গভীরতার মাধ্যমেই বুঝিয়ে দিতে পারেন, আপনি তাঁর জন্য সত্যিই মমতা বোধ করেন।