গুলজার হোসেন : কিলিংমেশিন খ্যাত ভয়ংকর বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্কে যখন সারা বাংলাদেশ আতঙ্কিত তখন জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাপের কামড়ে মো. আলম মিয়া (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, যেহেতু আলমকে রাতে দংশন করা হয় সেহেতু তাকে কি সাপে দংশন করেছে তারা তা বলতে পারেন না। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের বড় আদ্রা দক্ষিণপাড়া গ্রামে গিয়ে এই তথ্য পাওয়া যায়। আলম মিয়া ওই এলাকার ফরমান মন্ডলের ছেলে। এর আগে, গত রবিবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই এলাকায় দংশনের শিকার হন তিনি। স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, ঈদের আগের দিন রাতে বসতভিটা সংলগ্ন বাজার থেকে বাড়িতে আসার সময় সাপটি আলম মিয়ার পা প্যাঁচিয়ে ধরে ছোবল মারে। পরে বাড়িতে এসে তিনি রশি দিয়ে পা বেধে ফেলেন। কিন্তু স্থানীয় দুদু কবিরাজের পরামর্শে পায়ের বাধন খোলার ৫-১০ মিনিটের মধ্যে নাকে মুখে রক্ত আসে এবং তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই বিষয়ে আলম মিয়ার পিতা ফরমান মন্ডল বলেন, সাপটি দেখতে মোটা। গাছ থেকে লাফ দিয়ে নেমে আলমের পা প্যাঁচিয়ে কামড় দেয়। পরবর্তীতে আলম পা থেকে সাপটিকে ছাড়িয়ে বাড়িতে চলে আসেন।পরে স্থানীয় দুদু কবিরাজকে খবর দেওয়া হলে সে এসে বাধন খুলে দিতে বলেন। তার পরামর্শে বাধন খুলে দেওয়ার ৫-১০ মিনিটের মধ্যে নাকে মুখে রক্ত আসে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় সাদি নামে স্থানীয় একজন বলেন, পরিবার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে এটি রাসেল ভাইপার সাপ হতে পারে। এছাড়াও যেহেতু সাপটি নদী তীরবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে সেহেতু আলমদের এলাকাও নদী তীরবর্তী। তাই এটি অসম্ভব বলে কিছু নয়। এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদের আগেরদিন এই ধরনের একটি রোগী হাসপাতালে এসেছিলো। কিন্তু স্বজনরা তাকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
গুলজার হোসেন : কিলিংমেশিন খ্যাত ভয়ংকর বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্কে যখন সারা বাংলাদেশ আতঙ্কিত তখন জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাপের কামড়ে মো. আলম মিয়া (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, যেহেতু আলমকে রাতে দংশন করা হয় সেহেতু তাকে কি সাপে দংশন করেছে তারা তা বলতে পারেন না। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের বড় আদ্রা দক্ষিণপাড়া গ্রামে গিয়ে এই তথ্য পাওয়া যায়। আলম মিয়া ওই এলাকার ফরমান মন্ডলের ছেলে। এর আগে, গত রবিবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই এলাকায় দংশনের শিকার হন তিনি। স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, ঈদের আগের দিন রাতে বসতভিটা সংলগ্ন বাজার থেকে বাড়িতে আসার সময় সাপটি আলম মিয়ার পা প্যাঁচিয়ে ধরে ছোবল মারে। পরে বাড়িতে এসে তিনি রশি দিয়ে পা বেধে ফেলেন। কিন্তু স্থানীয় দুদু কবিরাজের পরামর্শে পায়ের বাধন খোলার ৫-১০ মিনিটের মধ্যে নাকে মুখে রক্ত আসে এবং তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই বিষয়ে আলম মিয়ার পিতা ফরমান মন্ডল বলেন, সাপটি দেখতে মোটা। গাছ থেকে লাফ দিয়ে নেমে আলমের পা প্যাঁচিয়ে কামড় দেয়। পরবর্তীতে আলম পা থেকে সাপটিকে ছাড়িয়ে বাড়িতে চলে আসেন।পরে স্থানীয় দুদু কবিরাজকে খবর দেওয়া হলে সে এসে বাধন খুলে দিতে বলেন। তার পরামর্শে বাধন খুলে দেওয়ার ৫-১০ মিনিটের মধ্যে নাকে মুখে রক্ত আসে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় সাদি নামে স্থানীয় একজন বলেন, পরিবার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে এটি রাসেল ভাইপার সাপ হতে পারে। এছাড়াও যেহেতু সাপটি নদী তীরবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে সেহেতু আলমদের এলাকাও নদী তীরবর্তী। তাই এটি অসম্ভব বলে কিছু নয়। এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদের আগেরদিন এই ধরনের একটি রোগী হাসপাতালে এসেছিলো। কিন্তু স্বজনরা তাকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।