এস এম খুররম আজাদ:
জামালপুরের
সরিষাবাড়ীতে তিনমাস জেল খেটে এসে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে পরপর দুইবার ছুরিকাঘাত
করেছে সাইফুল
ইসলাম সরল নামের এক যুবক।
বুধবার
(১৯ জুন) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার (সাথী) মৃত্যু হয়। ঈদের আগেরদিন রবিবার (১৬ জুন) উপজেলার
৬নং ভাটারা ইউনিয়নের মহিষাবাদুরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়
ও পরিবার সূত্রে জানাগেছে, ১০ বছর আগে
উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের মহিষাবাদুরিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে কান্চন সাথী (২৫)" এর সাথে দিনাজপুর
জেলার হাকিমপুর উপজেলার
সাইফুল ইসলাম সরল(৩০) তার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের
মাঝে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় স্বামীকে তালাক দিয়ে নিজ এলাকায় চলে আসেন সাথী আক্তার। পরে সরল মিয়া ভাটারা এলাকায় এসে রাজমিস্ত্রীর কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে তালাকপ্রাপ্ত
স্ত্রীকে উত্যক্ত শুরু করেন সাইফুল ইসলাম সরল। এই ঘটনায় সরিষাবাড়ী
থানায় অভিযোগ করলে সরলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এরপর
তিনমাস জেল খেটে সম্প্রতি আবারও এই এলাকায় আসেন
সরল। ওইদিন সাথী আক্তার (ঈদের
আগেরদিন) ঈদের কেনাকাটা করে ভ্যানে করে বাড়ীতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সরল ওই ভ্যানে, উদ্দেশ্য
প্রনোদিত ভাবে জোরপূর্বক উঠে বসে।অতপর আগ্রাসী ও উদ্বিগ্ন অবস্হায়
ঝগরা করত:
মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিতে থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে সাথী আক্তারের গন্তব্য মহিষাবাদুরিয়া সাকিনাস্থ ভ্যান কর্তৃক বাড়ীতে আসিলে সাথী আক্তার ভ্যান থেকে নেমে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে সাইফুল ইসলাম সরল ভ্যান থেকে নেমেই তার কোমরে গুজে রাখা ছুরি দিয়ে পরপর দুইবার সাথী আক্তারের পেটে সজোরে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্হায় তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় রবিবার আনুমানিক সন্ধা ৭ টায়। ছুরিকাঘাত
অবস্থায় সাথী আক্তারের চিৎকারে তার স্বীয় লোকজন ও পারার প্রতিবেশীরা
এসে তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান
থেকেও (ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ) চিকিৎকগণ ঢাকা রেফার করেন। অতপর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৪
টায় সাথী আক্তার মৃত্যু বরন করেন।
এ
বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ছু্রিকাঘাতের ঘটনায় ওইদিন রাতেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা করার পর থেকেই আসামিকে
গ্রেফতার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।