সরিষাবাড়ীতে ফোর স্টার বেকারি কর্তৃক খাদ্য পণ্য প্যাকেট জাত করছে প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ নেই

 

এস এম খুররম আজাদ:

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ফোর স্টার বেকারি অস্বাস্থ্য পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি করত প্যাকেট জাত করছে, এবং বাজারে বিক্রি করলেও প্যাকেটের গায়ে নেই মেয়াদ উত্তির্ন তারিখ। এবিষয়ে প্রশ্ন করলে ফোর স্টার বেকারি মালিকের অবর্তমানে দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত সুমন বলেন, অন্যান্য কম্পানির মালিকরা পণ্যের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ উত্তির্ন তারিখ লেখলেও আমাদের লেখার প্রয়োজন হয়না। জানাযায়, গত জুলাই সরিষাবাড়ী হাসপাতাল সংলগ্ন একটি দোকানে জৈনেক দুই ব্যক্তি দুইটি প্যাকেটজাত বোন রুটি ক্রয় করে খাচ্ছিলে।

এমতাবস্থায় একটি রুটি একজন কর্তৃক খাওয়া শেষ হলে, আরেক জনেরটা সম্পূর্ণ খাওয়া শেষ হয়নি। খাওয়া শেষ না হওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে অপরজন বোন রুটির একাংশ হতে একটুকরো ছিড়ে খাওয়ার সময় তিনি বলেন, এই বোন রুটিটা কেমন যেনো ফেকাসে গন্ধ করছে। তখন তাদের সন্দেহ হয়যে রুটিটি হয়তোবা মেয়াদ উত্তির্ন হয়েছে। অতপর তারা (জৈনেক দুই ব্যক্তি) প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ উত্তির্ন তারিখ খোঁজতে থাকেন অনেক খোজাখুজির পর মেয়াদ উত্তির্ন তারিখের সিল দেখতে না পেয়ে দোকানিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

জৈনেক দুই ব্যক্তি দোকানির কাছে ওই বেকারির ঠিকানা মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। অতপর প্যাকেটের গায়ে  ফোর স্টার বেকারি ফয়েজের মোড় লেখাটি চোখে পড়ে তাদের।পরে ফয়েজের মোড় ফোর স্টার বেকারিতে গিয়ে দেখা যায় জরাজির্ন একটি টিন সেট ঘরে বেকারির কর্মচারিরা অপরিচ্ছন্য নোংরা অবস্থায় বেকারি পণ্য তৈরি করছে। প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে ঢোকার প্রারম্ভে পরিলক্ষিত

হয় চারিদিকে সেত-সেতে কাদা সমেত আবর্জনা যুক্ত। ঘরেরভিতরে ফ্লোর ভাঙা। ভগ্ন ফ্লোরের পাকা থেকে বিচ্ছিন্ন খোয়া সিমেন্টের টুকরোগুলো ছড়িয়ে ছিটি আছে। তন্মধ্যে বাহিরের পরিহিত সেন্ডেল পরে কর্মচারীগণ পণ্য সামগ্রী পাওরুটি, বিস্কিট প্যাকেটিং করছে। দেখা গেছে পণ্যে মিশ্রিত করণ ডালডা, মাছিযুক্ত অবস্থায় উদ্বেগ অরক্ষিত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারীর সাথে কথা বলতে চাইলে আগন্তুক ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা মো: সুমনকে পণ্য প্যাকেটজাত করার অনুমদন আছে কিনা এবং মেয়াদ উত্তির্ন তারিখ নেই কেনো এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত আসলে জরিমানা করে। আমরা জরিমানা দেই তাই প্যাকেটের গায়ে অনুমতি মেয়াদ উত্তির্ন তারিখ না লাগালেও চলে। এহেন আলোকপাতের এবিষয়ে কবিপ্রাবন্ধিক সাধারন সম্পাদক

(জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন) সাংবাদিক জাকারিয়া জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা কর্তৃক (ভ্রাম্যমাণ আদালত) জরিমানা করণ এটা নিয়ম আইন মতে প্রাসঙ্গিক। যদি কোনো খাদ্য নির্মান প্রতিষ্ঠান অস্বাস্থ্যকর অরক্ষিত অবস্থায় খাদ্য পণ্য প্রস্তুত করে তবে জনস্বাস্থ্যের জন্য তা হুমকি স্বরুপ। প্রতিষ্ঠানটি অরক্ষিত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে পরবর্তীতে যেন খাদ্য তৈরী  করতে না পারে সেটি তাদের (ভ্রাম্যমাণ আদালত) সর্বাগ্রে নিশ্চিত করা অতিব জরুরি।

ব্যপারে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন এবং অনিয়ম পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।


Previous Post Next Post