এস এম খুররম আজাদ:
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্প্রতি নির্বাচিত চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুকে সার ব্যবসায়ী নওশের আলী হত্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (০১ জুলাই) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে জামালপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ এই আদেশ দেন।
সম্প্রতি শপথ গ্রহণের শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার তার দায়িত্ব গ্রহণের কথা ছিল। চেয়ারে বসার আগেই তিনি কারাবন্দি হলেন।
এদিকে আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান রিমুর সমর্থকরা মাদারগঞ্জে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরো উপজেলায় হরতাল ডেকেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ইউসুফ আলী জানান, ২০২০ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি বাজারে সার ব্যবসায়ী নওশের আলী সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুর নাম উঠে আসে। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি ৬ সপ্তাহের জন্য জামিনে আসেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যদিয়ে রায়হান রহমতুল্লাহ রিমু মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এদিকে গতকাল রবিবার তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। আজ সোমবার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন আবেদন করলে বিচারক তা না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
এদিকে চেয়ারম্যানকে কারাগারে প্রেরণের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। চেয়ারম্যানের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরো উপজেলায় হরতাল আহ্বান করেছেন।
মাদারগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ও শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান সাগর বলেন, চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে হত্যা মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও চারবছর পর তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হলো।
তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত হরতাল, অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে, তবে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা হরতালসহ আন্দোলনের আওতামুক্ত থাকবেন বলে জানান তিনি।